কাজাখস্তানের একটি খনিতে আগুন লেগে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির স্টিল জায়ান্ট আর্সেলর মিত্তালের মালিকানাধীন একটি খনিতে আগুন লাগার পর প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাজাখস্তানে স্টিল জায়ান্ট এই কোম্পানির খনির কার্যক্রম জাতীয়করণের একটি চুক্তি নিশ্চিত হওয়ার পর একই দিনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় কোস্টেনকো খনিতে ২৫২ জন কাজ করছিলেন এবং এর মধ্যে আরও ১৪ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত আরও ১৮ জন এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিবিসি বলছে, কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ জাতীয়করণের জন্য চাপ দেওয়ার কারণে অগ্নিকাণ্ডের আগে দেশের বৃহত্তম এই স্টিল মিলে বিনিয়োগ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনাটিকে ‘ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘এখন আমরা এন্টারপ্রাইজের বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবব।’
আঞ্চলিক স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণে যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জনকে কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ার জন্য চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার কাজাখ মিত্র প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভকে সমবেদনা জানিয়েছেন। পুতিন বলেছেন, ‘নিহত খনি শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি আমার সহানুভূতি ও সমর্থনের কথা পৌঁছে দেবেন। আমরা আশা করি মাটির নিচে থাকা খনি শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবে।’
বিবিসি বলছে, কাজাখস্তানে আর্সেলর মিত্তাল পরিচালিত কোনও সাইটে গত দুই মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয় মারাত্মক ঘটনা ঘটল। এর আগে গত আগস্টে দেশটির কারাগান্ডা খনিতে আগুন লেগে চার খনি শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন।