আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের হামারোল গ্রামে মিল থেকে ধান ছাটাই করে না আনাই কোলের সন্তান কেড়ে নিয়ে মারধর করে গৃহবধুর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ স্বামী রায়হান শেখ এর বিরুদ্ধে,রায়হান পলাতক আছে।
জানা যায়,তিন বছর আগে পারিবারিক ভাবে হামারোল গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে রায়হান শেখের সাথে বিবাহ হয় একই মৃত্যু ইনজাহের খানের মেয়ে মালা ২১ এর বিয়ের ছয় মাস পর থেকে বিভিন্ন সময়ে মালার কাছে টাকা দাবি করত রায়হান, টাকা না দেওয়াতে তাকে মারধর করত রায়হান, বর্তমান রায়হানের ঘরে মালার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে তার বয়স ১৭ মাস,
মালা জানান ২৬/ নভেম্বর রবিবার সকাল ছয়টা সাড়ে ছয়টার দিকে রায়হান মালাকে ধান ছাটাই করে আনতে বলেন, মালা জানায় বাচ্চা নিয়ে মহিলা মানুষ কি করে ধান ছাটাই করে আনবে একথা বলাই রায়হান উত্তেজিত হয়ে মালাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কাঠের চলা দিয়ে মারধর করে,মারধরের একপর্যায়ে মালার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় রায়হান,দাউ দাউ আগুনের ফুলকিতে মালার হাত,পা,ও পরনের ওড়না কাপড় পুড়তে থাকে এসময় মালার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন এসে আগুন থামিয়ে মালাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত মালা আরো জানান তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই তার স্বামী রায়হান তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন এখন সে প্রশাসনের কাছে তার স্বামীর কঠিন বিচার দাবি করেন,
এ বিষয়ে মালার মা বলেন আমি বিধবা অসহায় নারী আমার মেয়েটা কে বিয়ের পর থেকেই প্রায় সময় মারধর করতো রায়হান আজ সে আমার মেয়েকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আমার কেউ না থাকাই তারা শক্তিশালী হওয়ায় এসব জুলুম অত্যাচার করে যাচ্ছে আমার মেয়ের উপর আমি প্রশাসনের কাছে এর সুস্থ বিচারের দাবি করছি এবং রায়হান এর কঠিন শাস্তির দাবি করছি,
এবিষয়ে মালার স্বামী রায়হান এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি মারধরের ঘটনা স্বীকার করেন,কিন্তু আগুন ধরিয়ে দেয়ার বিষয়ে কথা হলে বিভিন্ন কথা বলে এড়িয়ে যায়,
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: নাসির উদ্দীন বলেন পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে, এবং মেয়েটি অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।