৫ডিসেম্বর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে বান্দরবানে জেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গণ থেকে একটি র্র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূণরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্র্যালীত্তোর আলোচনা সভা বান্দরবান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম. মন্জুরুল হক। বান্দরবান জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জুলহাস আহমেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর।
মাটি ও পানি: জীবনের উৎস প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বান্দরবান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মাহবুবুল ইসলাম। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জুনাইদ হাসান খাঁন এর সঞ্চালনায় সভায় বিষয় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আমিনুর রশিদ, উপপরিচালক হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবান,জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল, BADC উপপরিচালক
দীপক কুমার দাস, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মুহাম্মাদ আলী, সাংবাদিক ইয়াছিন, সাংবাদিক রতন,সাংবাদিক বশির আহমেদ, সভায় কৃষক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন জেনেদিন ত্রিপুরা,আরো উপস্থিত ছিলেনমৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সহকারী মানচিত্রাঙ্কনবিদ মো:শাহীনুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মাটি ও পানি দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ যা ছাড়া জীবন, জীবিকা ও সভ্যতা টিকে থাকা অসম্ভব। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি মূলত কৃষিকেন্দ্রিক। অপরিকল্পিত কৃষিচর্চা মাটির ক্ষয় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে। একইভাবে কৃষি ও অন্যান্য কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। টেকসই কৃষির পাশাপাশি প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র (ইকো-সিস্টেম) সুরক্ষার জন্য মাটি ও পানি সম্পদের সামগ্রিক এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। উদ্ভিদের জন্ম-বৃদ্ধিতে ও মানবকল্যাণে মৃত্তিকার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতেই বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস নির্ধারণ করা হয়েছে। মৃত্তিকার সঠিক পরিচর্যার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মৃত্তিকা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউএসএস) ২০০২ সালে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন করে। পরে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার অনুমোদন লাভের পর প্রতিবছর ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। বিশ্বের প্রায় ৬০ হাজারের বেশি মৃত্তিকাবিজ্ঞানী এ দিবসটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকেন। বিশ্বের সব দেশে সুস্থ মৃত্তিকার সুফল লাভে উৎসাহিত করতেই এ দিবস পালন করা