রাসেল মাহামুদ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলা ও পলাশবাড়ী উপজেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরুস্কার পেয়েছেন সফল নারী উদ্যোক্তা ও নুনিয়াগাড়ী এমব্রয়ডারি পল্লীর সত্বাধিকারী মোছা.মিতু বেগম। “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ “শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর,মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে শনিবার (৯ ডিসেম্বর)সকালে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এ পুরুস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল। পাঁচ ক্যাটাগরিতে জেলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে পাঁচজন পুরুস্কারে ভূষিত হন। তার মধ্যে মিতু বেগম একজন। এদিকে পলাশবাড়ী
উপজেলায়ও পাঁচজন জয়িতার মধ্যে মোছা. মিতু বেগম শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন। “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ “শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে তিনি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরুস্কার গ্রহণ করেন। পলাশবাড়ী উপজেলায় পদক তুলে দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কামরুল হাসান এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহনাজ আক্তার।
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী জয়িতা নারী মোছা.মিতু বেগম বলেন, সমাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে আসাটা জরুরি। তাই আমাদের সকলের উচিত হবে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি তাদের সাবলম্বি করে গড়ে তোলা।
উল্লেখ্য. পলাশবাড়ী পৌরসভার নুনিয়াগাড়ী গ্রামের “নুনিয়াগাড়ী এমব্রয়ডারি পল্লীর সফল নারী উদ্যোক্তা মোছা .মিতু বেগম। তিনি এ গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মজিদ মন্ডলের কন্যা ও পলাশবাড়ী শিল্প্যায়নের স্বত্বাধিকারী মো.মিজানুর রহমান মিজানের সহধর্মিনী।ছোট থেকেই ভালো কিছু করার বাসনা ছিল মিতুর। সেই বাসনা থেকেই প্রথমে পলাশবাড়ী পল্লী উন্নয়ন বোর্ড
বিআরডিবি থেকে ৩০ দিনের এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ ও ঋণ নিয়ে প্রথমে পাঁচজন নারীকে নিয়ে শূন্য থেকে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন।এরপর কাজের পরিধি ও অর্ডার বাড়তে বাড়তে আজ তার নারী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৬’শ জন। অর্ডার আসছে ঢাকা অড়ং,ইউলোসহ বহু খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে। বতর্মানে এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করে একেকজন নারী শ্রমিক প্রতি মাসে পর্যায়ক্রমে ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা আয় করে সংসারের অভাব ঘুচাতে সক্ষম হচ্ছেন।