লুৎফুর রহমান রাকিব
পুলিশ সুপার, কক্সবাজার জেলা জনাব মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম (বার) মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক সুজন কান্তি বড়ুয়া এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কক্সবাজার এর একটি চৌকস টিম গত ১০/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পূর্ব পাশের্^ প্রিন্স রিসোর্ট এর ১০৩ নং কক্ষ হইতে ভিকটিম আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ(০৭), পিতা-ফরিদুল আলম, মাতা-রেহেনা আক্তার, সাং-চুনতি বাগান পাড়া, ০৬নং ওয়ার্ড, থানা-লোহাগাড়া, জেলা-চট্টগ্রাম‘কে উদ্ধার পূর্বক ০১(এক) জনকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ নুর(২১) (বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক), পিতা-শাহ আলম, মাতা-রেহানা বেগম, সাং-বালুখালী, ক্যাম্প নং-০৯, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার। আসামী মোহাম্মদ নুর(২১) (রোহিঙ্গা) কে ভিকটিমের পিতা ফরিদুল আলম মুরগির ফার্মে অভিজ্ঞতা আছে মর্মে ফার্মের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন। সেখানে আসামী মোহাম্মদ নুর প্রায় দেড় মাস যাবত কাজ করেন। কাজের সুবাধে পরিবারের এবং ভিকটিমের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে, ভিকটিম আসামীকে ভাইয়া বলে ডাকতো। আসামী মনে মনে ভিকটিমকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসামী ফার্মে কাজ করবে না মর্মে ভিকটিমের পিতাকে জানালে ভিকটিমের পিতা আসামীকে বেতন দিয়ে বিদায় করে দেন। পরদিন আসামী তার জামা কাপড় নেওয়ার জন্য আসলে কৌশলে গত ০৮/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় আসামী মোহাম্মদ নুর (২১) (রোহিঙ্গা) ভিকটিম আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ(০৭) কে ট্রেন দেখাবে বলে গোপনে অপহরণ করে কক্সবাজার নিয়ে আসে। অতঃপর ভিকটিম আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ(০৭) এর পিতা ফরিদুল আলমকে আসামীর মোবাইল নম্বর থেকে কল দিয়ে মুক্তিপন বাবদ ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা দাবী করিলে ফরিদুল আলম বিকাশ মাধ্যমে ৪০,০০০(চল্লিশ হাজার) টাকা প্রদান করেন। বাকী টাকা প্রদানের জন্য আসামী ভিকটিমের পিতাকে কক্সবাজারে আসতে বলে। উক্ত বিষয়ে গত ০৮/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ লোহাগাড়া থানা, চট্টগ্রাম এ ফরিদুল আলম একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত বিষয়টি ভিকটিম এর পিতা ফরিদুল আলম পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবহিত করিলে উক্ত বিষয়ে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে জেলা ডিবির একটি চৌকস টীম শহরের বিভিন্ন স্থানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত অপহরণকারীকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পূর্ব পাশের্^ প্রিন্স রিসোর্ট এর ১০৩ নং কক্ষ হইতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং আসামীকে গ্রেফতার করে। আসামীর মোবাইল চেক করে ভিকটিমের পিতার নিকট হইতে নেওয়া ৪০,০০০/-(চল্লিশ হাজার) টাকার মধ্যে ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা নগদে পাওয়া যায়।
উক্ত বিষয়ে ফরিদুল আলম, পিতা-আলী হোসাইন, সাং-চুনতি বাগান পাড়া, ০৬নং ওয়ার্ড, থানা-লোহাগাড়া, জেলা-চট্টগ্রাম এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে লোহাগাড়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।