বিশেষ প্রতিনিধি :
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা ভবন সাবেক গাছা ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সিলগালা।
এই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়ার পরেও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর ওসমান গনি কাজল সম্প্রতি তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে যা সম্পূর্ণরূপে নিয়মের পরিপন্থী।
উল্লেখ্য এই ভবনটিতে গাছা প্রেসক্লাবের কার্যালয়,সাবেক ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় এবং বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যবহৃত করে আসছিল।কিন্তু প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট সিটি কর্পোরেশনের উক্ত ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেখান থেকে সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ উক্ত ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
যার ফলে এখান কার ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন এবং লোন নিয়ে ব্যবসা করার কারণে তারা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েন। একদিকে ঋনের চাপে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ভীষণ কষ্টের মধ্যে পড়েন।তারা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও দোকান সিলগালা মুক্ত করতে পারেননি এবং দোকানে থাকা মূল্যবান কাপড়-চোপড় অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে বলে তারা জানিয়েছেন।
এদিকে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে সিটি কর্পোরেশনের এই ভবনটিতে থাকা দোকান পাট ও বিভিন্ন কার্যালয় সমূহ সিলগালা করে দেয়া হলেও হঠাৎ করেই সিটি কর্পোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মীর ওসমান গনি কাজল তার লোকজন সহ এবং সিটি কর্পোরেশনের কতিপয় লোকজন নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের দেয়া সিলগালা খুলে ঘোষিত এই পরিত্যক্ত ভবনটি দোওয়া মুছা ও সংস্কার শুরু করেন এবং সেখানে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর ওসমান গনি কাজল ভবনটিকে তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন।
পরিত্যক্ত এই ভবনটি সম্প্রতি সকল ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে সেখানে আবার কি করে, নতুন করে সিলগালা খুলে কাউন্সিলরের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়? এটি ভুক্তভোগীসহ সাধারণ মানুষের প্রশ্ন।এই পরিতক্ত ভবনটিতে যদি কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তার দায় দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনকেই নিতে হবে বলে জানান এলাকাবাসী।