মো:সিরাজুল ইসলাম পলাশ,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: রুপালী ব্যাংক প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি সিইও আতাউর রহমান প্রধান। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী এলাকায়, তিনি একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম আফতাব উদ্দিন প্রধান।
বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অর্থ পরিকল্পনা উপ-কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে মেধা ও দক্ষতা দিয়ে কাজ করার কারনে রুপালী ব্যাংক প্রবাসী কল্যাণ ও সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। এসময় স্থানীয় অনেক গরিব অসহায় পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাভাতা সহ চাকরির ব্যাবস্থা করেন আতাউর রহমান প্রধান। এবং পাটগ্রাম উপজেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন সেই সাথে অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা করেন। পরে ২০১৬ সালে চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করলে বিভিন্ন মেয়াদে চুক্তি ভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন কয়েকটি ব্যাংকে।
পরবর্তীতে ২০২২ সাল থেকে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করতে থাকেন, তবে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। চাকরি করার কারনে সরাসরি রাজনীতি করা সম্ভব হয়নি। তিনি লালমনিরহাট এক আসন হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের সেবায় কাজ করে ইতোমধ্যে আলোরন সৃষ্টি করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি মনোনয়নের জন্য সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়ন বাতিল করেন। পরবর্তীতে ১৭ ডিসেম্বর২০২৩ রবিবার মহামান্য হাইকোর্ট থেকে তার প্রার্থীতা ফিরে পান। এতে করে এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে। এবিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াৎ খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান ভেলু , হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন,
আতাউর রহমান প্রধানের পক্ষে কাজ করে নির্বাচিত করার আশা ব্যাক্ত করেছেন এই প্রতিনিধিকে। তিনি প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার কারনে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় জনমানবে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।