মনিরুল ইসলাম, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ভোটকেন্দ্র গুলোতে ইতিমধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে এখন ভোটার উপস্থিতি এবং নিজ পক্ষের ভোটারকে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা।
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম ১ আসনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫ জন প্রার্থী অংশ নিলেও মূলত জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান এবং জাকের পার্টির গোলাপ ফুল মার্কায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাষ্টারের কথা নিয়েই সরগরম চায়ের দোকান গুলো।
চলছে দুই প্রার্থীর কাজকর্মের বাছ বিচার, আচার-আচরণের বিচার বিশ্লেষণ। অন্য তিন প্রার্থীদের অনেকেই চেনেন না বলে জানা গেছে সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে। বিএনপি জামায়াত ও অন্যান্য দলগুলো ভোট বর্জন করায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রথমে আসনটিতে সাবেক এমপি আসলাম হোসেন সওদাগরকে মনোনয়ন দিলেও জাতীয় পার্টির জন্য আসনটি ছেড়ে দেয়।
নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম ১ আসনটির ভোটকেন্দ্র ও ভোটার সংখ্যার মধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯২ টি, ৯২ টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী বুথের সংখ্যা ৪৪১ ও অস্থায়ী বুথের সংখ্যা ২০টি সহ মোট ৪৬১ টি । উপজেলায় নারী ভোটার সংখ্যা ৯৭ হাজার ১ শত ৮৬, পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ১ হাজার ৫ শত ৪৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া ভোটার তিনজন সহ মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৩৪ জন।
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই জয় লাভের প্রত্যাশা করেছেন। জয় লাভের প্রত্যাশা করেছেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য একেএম মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে সামাজিক কাজকর্মে ব্যস্ত থাকা সাবেক ভূরুঙ্গামারী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাস্টার প্রথমবারের মতো জনগণের ভালবাসা নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভের প্রত্যাশা করছেন।