মোঃ এনামুল চৌধুরী, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর জেলায় সূর্যমুখী তেল জনপ্রিয় করতে ফরিদপুর বিএডিসির উদ্যোগে চাষ করা হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। কম সময় ও কম অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে এই জেলায়। বিএডিসির সূর্যমুখী চাষ করা জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ফুটে থাকা হলুদ সূর্যমুখী ফুলের সমাহারে এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। চারদিকে হলুদ রঙের ফুলের মনমাতানো ঘ্রাণ আর মৌমাছিরা ছুটছেন এক ফুল থেকে অন্য ফুলে তাতে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিএডিসির জমি। এটি যেন ফসলি জমি নয়, এ এক দৃষ্টিনন্দন বাগান।
এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকনে শুধু প্রকৃতিপ্রেমীই নয় বরং যে কারো হৃদয় কাড়বে। তবে সূর্যমুখী ফুল চাষের লক্ষ্য নিছক বিনোদন নয়। মূলত ভোজ্যতেল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা মেটাতে এ চাষ করা হচ্ছে। বাগানের দেখা সোনা দায়িত্ব ব্যাক্তির কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে লেভার সরদার মহজ্জেম খলিফা তিনি বলেন এখানে মোট ৬ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হচ্ছে।। লাগানোর সময় কাল তিনি বলেন নভেম্বরে ১০থেকে ১৫ তারিখে বীজ রোপণ করা হয়।ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে জমি থেকে সেইগুলো সংগ্রহ করা হয়।। এখানে মোট কতো টাকার মতো খরচ এবং উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান জেয়া হাসার উপপরিচালক স্যার বলতে পারবেন।
এই সময় ঘুরতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায় সাদেক নামে একজন দর্শনার্থী জানায় আমার বাসা ঢাকায় আমি অনলাইন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারি।। তাই পরিবার সহ এখানে ঘুরতে এসেছি। রাকিব হাসান নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন এর আগে আমি আতো সূর্যমুখী ফুল একসাথে কখনো দেখি নাই।।আমার বাসা রাজবাড়ী বন্ধুরা সবাই মিলে ঘুরতে এসেছি তাছাড়াও মানিকগঞ্জ ভাঙা সহ বিভিন্ন জেলার প্রকৃতি প্রেমী মানুষদের আনাগোনা দেখা গিয়েছে। কয়েক জন ফুচকা দোকানদার দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা প্রতিদিন দুপুর ১ হতে সন্ধ্যা ৬ পয়ন্ত বেচাকেনা করি এই সময়ে তাদের প্রতিদিন ৫থেকে ৬ হাজার টাকা বেঁচে হয়।।এই সূর্যমুখী বাগানকে ঘিরে অনেক যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানায়।