শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলা বাউফল উপজেলা যৌথ থেকে অভিযান চালিয়ে পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলাটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার করেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত ০১ জন পলাতক আসামী র্যাব-৮, সিপিসি-১, (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এবং র্যাব-১০, কেরানীগঞ্জ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার।
র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-১০, সদর কোম্পানী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গত ১৯/০২/২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ২২:০৫ ঘটিকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ লেদু সওদাগর @ নূর আলম(৪০), পিতা- মনু সওদাগর @ মান্নান, সাং- কালাইয়া, থানা- বাউফল, জেলা- পটুয়াখালী’কে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন ৪১৫ মীর হাজিরবাগ শরীয়তপুর জেনারেল স্টোরের সামনে হতে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্মীকার করে যে, সে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, পটুয়াখালী এর নারী ও শিশু মামলা নং-৩৬৭/০৯, প্রসেস নং-৩৬০/১৯, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১) মামলায় যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত ও ২০,০০০/- জরিমানা, অনাদায়ে আরো ০৬ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত আসামী। ঘটনাক্রমে জানা যায়, আসামী লেদু সওদাগর দীর্ঘদিন যাবত মামলার বাদী ভিকটিম রোকেয়া বেগমে’কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। প্রেম ও ভালোবাসার অভিনয় এবং বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসামী ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে ভিকটিম রোকেয়া অন্তসত্বা হয়ে পড়লে আসামী লেদু সওদাগর ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মেনে নিতে অস্মীকার করে। পরবর্তীতে ভিকটিম রোকেয়া বেগম লেদু সওদাগরকে ০১ নং আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় লেদু সওদাগর @ নূর আলম দোষী সাব্যস্ত হয় এবং বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০,০০০/- জরিমানা, অনাদায়ে আরো ০৬ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করে। সে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।